তবে, অনেক শিক্ষকই আবার ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহারকে দুঃসংবাদ বলে মানতে নারাজ। টুইট, টেক্সটিংয়ের বিষয়গুলো বর্তমানে কোনো কাজে না এলেও ভবিষ্যতে এ ডিজিটাল বিষয়গুলো শিক্ষার্থীদের সৃজনশীলতা ও ব্যক্তিগত বক্তব্যের ক্ষেত্রে কাজে লাগবে বলে মনে করছেন তাঁরা।
পিউ রিসার্চের গবেষণায় উঠে এসেছে, ৮৮ শতাংশ শিক্ষক বর্তমানে তাঁর ক্লাসে পড়ানোর সময় উদ্ধৃতি যুক্ত করা, বিভিন্ন উত্স থেকে তথ্য সংগ্রহ করে তা একত্রে লেখার কৌশল শেখান। ৭৫ শতাংশ শিক্ষকই মনে করেন, শিশুদের কপিরাইট বিষয়টি এবং অন্যের লেখা চুরি না করার বিষয়টি শেখানো উচিত। বর্তমানে সূত্র উল্লেখ না করেই শিক্ষার্থীদের মধ্যে অন্যের লেখা হুবহু বসিয়ে দেওয়ার প্রবণতা বেড়ে গেছে। এ ছাড়া তাঁরা মনে করেন, সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইট ও প্রযুক্তির অতিরিক্ত ব্যবহারে শিশুরা সবচেয়ে খারাপ করছে বানানে ও ব্যাকরণে।
জরিপে ৯০ শতাংশ শিক্ষক শিক্ষার্থীদের হাতে লেখার ওপর গুরুত্ব দিতে বলেছেন। শিক্ষকদের পরামর্শ হচ্ছে, শিক্ষার্থীদের সক্রিয়ভাবে চিন্তা করতে হবে, সৃজনশীলতা বাড়াতে হবে, নিজের হাতে লিখতে হবে এবং অন্যের লেখা চুরি করার প্রবণতা বাদ দিতে হবে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন