হাত মেলাতে সতর্কতা!


হাত মিলিয়ে কুশল জিজ্ঞাসা আমাদের নিত্যদিনের ব্যাপর।   তবে এই বর্ষায় একটু সাবধান। কারণ অনেকেরই চোখ   উঠেছে। হাতে হাতে ছড়িয়ে যাওয়া ভাইরাস আপনারও  চোখ উঠিয়ে দিতে পারে। 

 ছোট বেলায় বন্ধুরা যখন বলতো চোখ উঠেছে, মজা করে বলতাম কোথায় উঠেছে? গাছে না ছাদে? তবে আমি নিজে আক্রান্ত হয়ে বুঝেছিলাম যে চোখ কোথায় ওঠে। চোখওঠা বা কনজাংকটিভাইটিস রোগের অভিজ্ঞতা হয়নি এমন লোকই খুঁজে পাওয়া কঠিন হবে। চোখ লাল হয়ে যাওয়া, চোখ জ্বালা, চোখে বালুর মতো কিছু পড়েছে বলে মনে হওয়া, চোখ দিয়ে পানি পড়া, চোখের কোণে পিঁচুটি জমা, চোখে চুলকানি, চোখের পাতা ফুলে যাওয়া, আলোর দিকে তাকাতে সমস্যা হওয়া, দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে যাওয়া—এসবই চোখ ওঠা বা কনজাংকটিভাইটিস রোগের লক্ষণ। এটি একটি ভাইরাসজনিত রোগ। মূলত ‘এডেনো ভাইরাস’ এর জন্য দায়ী। সাধারণত একই সঙ্গে দুই চোখই আক্রান্ত হয়, তবে কোনো কোনো সময় এক চোখ অন্য চোখের চেয়ে একটু আগে অসুস্থ হয় এবং ১-২ দিনের মধ্যেই অন্য চোখে রোগ ছড়িয়ে পড়ে।

চোখ ওঠা সাধারণত সাতদিনের মধ্যেই ভাল হয়ে যায়। চিকিৎসক কখনো কখনো এ জাতীয় চোখ ওঠার জন্য এন্টিবায়োটিক ড্রপ দিয়ে থাকেন। চোখ উঠলে গরম পানির সেঁক দিলে আরাম পাওয়া যায়। চোখ ওঠার সাথে সাথে অনেকেই চিকিৎসকের কাছে যেতে চান না । কিন্তু সাতদিনের মধ্যে চোখ ওঠা না গেলে অবশ্য চোখের ডাক্তারের কাছে যেতে হবে । এ ছাড়া চোখে ওঠার পর স্টেরয়েড জাতীয় কোনো ওষুধ চোখে দেয়া যাবে না । তাতে মারাত্মক কুফল দেখা দিতে পারে। চোখ উঠলে কেউ কেউ শামুকের পানিসহ নানা ধরণের টোটকা চিকিৎসা করেন। এ জাতীয় চিকিৎষা থেকে অবশ্যই বিরত থাকতে হবে। না হলে অন্ধ হওয়ার আশংকা সহ নানা ধরণের মারাত্মক উপসর্গ দেখা দিতে পারে।

চোখ উঠলে করণীয়:
- বেশ ছোঁয়াচে রোগ বিধায় রোগীকে এ ব্যাপারে বেশি সচেতন হতে হবে।
- এদিক-সেদিক বেশি ঘোরাঘুরি না করাই ভালো।
- পরিষ্কার কাপড় অথবা টিস্যু দিয়ে চোখের কোণে জমে থাকা পিঁচুটি পরিষ্কার করতে হবে। যতটা সম্ভব ওই কাপড় ঘন ঘন গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ব্যবহার করা ভালো।
- অন্য চোখেও এ রোগের আক্রমণ ঠেকাতে যতটা সম্ভব ভালো চোখে হাত না দেওয়াটা মঙ্গলজনক। তবে সাধারণত এ রোগে এক সঙ্গে অথবা পর্যায়ক্রমে দুই চোখই আক্রান্ত হয়।
- রাতে ঘুম থেকে ওঠার পর ব্যবহার্য জিনিসপত্র; যেমন- বালিশের কভার, তোয়ালে, স্লিপিং স্যুট ইত্যাদি গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলা উত্তম।
- চোখে কালো চশমা পরা উচিত। এতে আলোর প্রতি সংবেদনশীলতা কমে আসে।
- ডাক্তারের পরামর্শে চোখ পরীক্ষা করিয়ে চোখে ওষুধ দেওয়া ভালো।

স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখুন, পোষ্টটি লাইক কমেন্ট অথবা শেয়ার করুন 
Share this article :

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
ভোরের পাখি ব্লগ
© ভোরের পাখি কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
ধুমেরকুঠি, হারাগাছ, কাউনিয়া, রংপুর
ইমেইলঃ-bhorerpakhi.2006@gmail.com